আজকাল বাংলা ভাষাভাষী মাত্রই কাব্য সচেতন, অপসংস্কৃত ছেড়ে দিয়ে শুদ্ধ সাহিত্যের খোঁজে অনলাইনএ প্রায়ই ঢু মেরে থাকেন। আধুনিক তথ্যপ্রবাহের যুগে অনলাইনে বাংলা ভালোবাসার কবিতার অভাব নিয়ে আক্ষেপ চলছে অনেকদিন ধরেই। তাছাড়া কিশোর আর তরুণ প্রজন্মের মাঝে বাংলা সাহিত্যের বিস্তার হওয়া উচিত কেননা তারাই অনলাইন এ বেশি তথ্য আদান-প্রদান করেন এবং তারাই ভবিষ্যতের কান্ডারি, দেশীয় সংকৃতির বাহক। তাই কিছু বাংলা কবিতা নিয়ে আবার হাজির হলাম।
বলা বাহুল্য, কবিতাগুলো বরাবরের মতো প্রেম-ভালোবাসা কেন্দ্রিক- কিছু কবিতা বিরহ নিয়ে, কিছু নুতন প্রেমের উচ্ছাস নিয়ে আর বেশিরভাগ প্রিয়তমাকে হৃদয়ের উচ্ছাস নিয়ে লেখা। আমার চেষ্টা থাকে কবিতাগুলি যেন অপ্রাসঙ্গিক না নয়। আশা করি, এই প্রেমের কবিতাগুলো সবার ভাল লাগবে, আর তাতে করে আমাদের নতুন প্রজন্মের মাঝে বাংলা সাহিত্যের প্রতি নতুন উৎসাহের সৃষ্টি হবে।
বলা বাহুল্য, কবিতাগুলো বরাবরের মতো প্রেম-ভালোবাসা কেন্দ্রিক- কিছু কবিতা বিরহ নিয়ে, কিছু নুতন প্রেমের উচ্ছাস নিয়ে আর বেশিরভাগ প্রিয়তমাকে হৃদয়ের উচ্ছাস নিয়ে লেখা। আমার চেষ্টা থাকে কবিতাগুলি যেন অপ্রাসঙ্গিক না নয়। আশা করি, এই প্রেমের কবিতাগুলো সবার ভাল লাগবে, আর তাতে করে আমাদের নতুন প্রজন্মের মাঝে বাংলা সাহিত্যের প্রতি নতুন উৎসাহের সৃষ্টি হবে।
কেবল বুকের দুকুল ভেঙ্গেছ নারী
কেবলই বুকের দুকুল ভেঙ্গেছ নারী??
তোমার জন্যতো আমার চারিধারই তৈরি ছিল।
প্রতিদিন চাদঁটা তোমার জন্য হাজির করতাম।
আর তুমি কিনা এক ফালি জোছনাতেই খুশি।
কতদিন তোমার অপেক্ষায় আছি।
তোমায় বিষের বীণে আমার হৃদয় ফালি ফালি হবে
আর তুমি কিনা কোলে তুলে নিলে??
কেবল হৃদয় নিয়েছ নারী??
আমি তো তোমার জন্য জীবন রেখেছি বাজী।
তুমি চাইলে স্বর্গের সুখ, পাতালের সুর,
বির্সজন দিতে পারি।।
তুমি কেবলই স্বর্গ দিলে যদি
আমি তোমার সাথে নরকের হতে পারি সাথি।
এরপর বেলা শেষে চৈত্রের ঘ্রাণ
আমি আকণ্ঠ তৃষিত চিরকাল, তোমার জন্য একাল, সেকাল
একটু সুখই চেয়েছি কেবল, তাও দিতে পারনি??
আমার জীবন, স্বর্গ নরক সবই তোমাকে দিলাম
এক মুঠো সুখ খুব বেশি দাবি ছিল কি বলো একবার??
হে অন্তপ্রান
বিষবাষ্প আছে কি? হৃদয় গহিন তলে,
বাজে কি বিষের বাঁশি? লাগে কি টান সিনায় সিনায়??
প্রখর চৈত্রের শেষে, বৃষ্টির ঘ্রাণে
উন্মাতাল হতো যে চাতকের চোখ
আজ তার কেবলই শূন্য দৃষ্টি।
বদলে যায়, থেমে যায় হৃদয়ের সব কলতান।
উড়ন্ত বলাকার দুরন্ত ডানায়
উঠত যে ঝড়, আপ্রাণ আগ্রহ বিশ্ব দেখার
আছে কি আজ সেই তৃষ্ণা??
তবে কি ধেয়ে আসছে? নেমে আসছে??
সবই কি তবে কেন্দ্রের প্রতি ধাবমান?
পার কি কিছু শুধাতে হে অন্তপ্রান?
গুটি গুটি পায়ে ছুটে চলে অভিসারে
উল্টে দেয়া, হৃদয়ের বেলা ভূমি
উর্বর হয়ে উঠে, নোনতা ফলের চাষে,
কিন্তু তাও থেকে যায় অনাবাদি,
আবার কখনো হয় আবাদ
এ মন বড়ই উচাটন, বার বার চায় বার বার
রসদ ফুরালো জড়ালো জীবন
বেলা শেষে ক্লান্ত সবাই, একে একে নীড়ে পানে
তুমি ও কি আছ সেই দলে??
জীবনের পথে, জীবনের রথে, সদা চলমান।
তোমরা তারে বল প্রেম
প্রাণের বিনিময়ে প্রাণ দান
আর আমি চলি উল্টো পথে উল্টো রথে
আমার অন্ধ আঁখি, সবই হৃদয়ের অনুধাবন
আমি বলি, এ প্রেম নয়, দান নয়, মহা প্রয়াণ।।
প্রেমহীন ভালবাসা
প্রেমহীন ভালবাসা সুখের আশ্বাসে
দীর্ঘ সংগমে রাত্রি জাগরণ শেষে
ক্লান্ত আঁখি খুঁজে ফেরে আবারও সুখের প্রদীপ
হৃদয়ে প্রেম নেই শুধুই ভালবাসা,
ক্ষণিকের জ্বালা-দ্বীপ।
প্রেম হীন দীর্ঘ রজনি চাই না,
চাই না চোখ ধাঁধানো আলোর ঝিলিক
স্বচ্ছ স্রোতস্বিনী জলের ন্যায় অবগাহনের জল চাই,
হোক নিভু নিভু ছোট্ট প্রেমের প্রদীপ
হোক না কয়েক পলক হোক কিছু সময়
তবুও প্রেম থাকুক বেঁচে
লোম ক‚পে ছুঁয়ে যাওয়া ছোট্ট প্রহর
এতটুকুই চাই, শুধু সুখকে যেচে।।
রাত যেন এমনই হয়
রাত যেন এমনই তবে, নির্জন অতনু প্রসাদ
রমণের করে সমর্পিত বিনোদিনীর অবসাদ
শিয়রে সি-থানে, অনায়াসে ছুতে পারা চাঁদ
বিনোদিনীর কপোলে উদাসী অবসাদ।
নিতম্বে আঁকা রুপোর উল্কি, স্মরণে মরণ ফাঁদ
হৃদয়ে জেগে উঠা জোৎন্সা কুমারীর, আজন্ম শত পাপ।
কমল শোভিত কুঞ্চিত কেশ রাশি, পায়ের রুপোর মল
সুবাসিতার অতলে ডোবার সাধে, হৃদয় ছলছল।
বুকের ভেতর জমিয়া থাকা, কষ্টের যত ঢালি
উথলিয়া উঠে ব্যাকুল প্রাণ, সপিঁতে পরান খানি
মূর্ছিত রমণের প্রাণ, শ্র“তিয়া নূপুরের সিঞ্জনে
রুপোর বিছায় লাগিয়ে ফাঁস মরিবার সাধ জাগে।।
এ আমার ভ্রান্তি। ক্ষমা করো........
যদি ভুল করে ভালবেসে থাকি
এ আমার ভ্রান্তি। ক্ষমা করো............
কতটা ছিলাম হিয়ার মাঝে
ভুলে না হয় একবার স্মরো।
যদি ভুল করে এসে থাকি
নেড়ে থাকি কড়া তব হৃদয়ের
তবে আবারও বিনম্র চিত্ত,
ফেলে আসা দিন গুলি থাক স্মরণে
আর নয় ভুল, আর নয় কস্ট অবগাহন
তবে দ্বার খোল, মনকে বলো আবারও
যদি ভুল করে দুরে সরে থাকি
এ আমার ভ্রান্তি। ক্ষমা করো......
আমার যদি একটা আট রঙা রংধনু থাকতো
আমার যদি একটা আট রঙা রংধনু থাকতো
আমি শেষ রংটার নাম দিতাম নন্দিনী
সুমিন হলে অবশ্য অন্ত্রিলা রাখত।
আমার রংধনুটার শেষ রংটা দেখতে ময়ুরকন্ঠী নীল হতো।
ওই রংটা তিনবার চিনেছিলাম নন্দিনীর কাছে।
প্রম চিনেছি নীল টিপ পড়ে আমার সামনে এসেছিল
এরপর যখন ভালবাসার নীল রং মনে ছুঁয়ে গেল।
এরপর বার বার দেখছি সেই রংটা।
তার অনুপস্থিতি আমাকে কাঁদায়
হৃদয়ে বেদনা জাগায়।
কষ্টে দোলায় ঠিক ময়ুর কণ্ঠের মতো
যেমন টা ঝড় দেখলে ময়ুররা করে।
তার সাথে হৃদয়ে অনুভব করি বিষের নীল রং।
আমার যদি একটা আট রঙা রংধনু থাকতো
আমি শেষ রংটার নাম দিতাম নন্দিনী।
আটটি রঙ্গকে বাধার জন্য সাতটি গিঁট লাগতো
তার এলোচুলে বিনুনিতে সাতটি ফুল তুলে দিতাম
সাত দিন অপেক্ষায় থাকতাম আর.......
সপ্তম দিনে দেখা হলে সাতটি সাদা বেলি ফুল তুলে দিতাম
সাত রঙা পাড়ের শাড়িতে জড়িয়ে সাতটি প্যাঁচ দিতাম।
তার মোহনিয় হাসি দেখার জন্য কমপক্ষে সাত বার বলতাম
ভালবাসি,ভালবাসি............
আমার যদি একটা আট রঙা রংধনু থাকত
আহ একটা আট রঙা রংধনু।
অপেক্ষা একটা ভোরের
পানতোয়া পাখির ঠোঁটে ভর করে প্রতিদিন র্সুয আসে
চাতকের ছোট্ট ডানায় পাখা মেলে সজল বরষা
ভিজিয়ে দিয়ে যায় হৃদয়ের সব অলিন্দ।
চির নতুন, চির তরুন হয়ে বেঁচে থাকে
”সত্য””সম্পর্ক” আর ”সুন্দর” যা কিছু।
পলক তোলা থেকে ফেলা অব্ধি
অনিমেষ অপেক্ষায় থাকা।
স্মৃতির পাতায় খুঁজে নেয়া প্রিয় মুখ, চেনা কণ্ঠ
প্রিয় কিছু শব্দ যা চির নতুন।
অপেক্ষা একটা ভোরের
ঘাসের বুকে জমে থাকা ছোট্ট শিশির বিন্দু
যেন এক একটা সাত রঙা পৃথিবী,
দরজায় কড়া নেড়ে জানান দেবে,
এই তো তোমার পৃথিবী, সব দিলাম।
এবার কষ্ট ভুলো..........................।
আমি আজ নষ্ট থেকে নষ্ট তর হব
অধিকারটা বেশিই চেয়েছিলাম
ভালইবেসেছি, অনুমতিটুকু নেইনি গুরুর।
করায়ত্ব করেছি তার সকল দীক্ষা গুলো
আর এ কারণেই.........
একলব্যের মতো আমিও এক নষ্ট মানব
আমার বুকে পুষে রাখা অহংবোধ গুলো
বদলে গেছে অপরাধ বোধ হয়ে।
তাই
আজ আমার চিতাগ্নি হবে সন্ধ্যা নদীর তীরে।
দুটি ঋণাত্বকের গুন ফলের মতো
আমি আজ নষ্ট থেকে আরো নষ্টতর হয়ে
ঋণাতড়বক থেকে ধনাত্মক নয়তো পৌছাবো শূণ্যে ।
পচা পুতীময় মখমলে রাত্রি যাপন শেষে
শরাবের নীল জলে অবগাহন করব।
নীল তোয়ালের চাপায় মৃত্যু হবে হৃদয়ের
আজ ব্যবচ্ছেদ করব প্রতিটি সময়ের
উপলব্ধি করব জমে থাকা অপরাধ বোধ গুলো।
চেরাপুঞ্জীতে চন্দন কাঠের সাজানো চিতায়
আজ আমার চিতাগ্নি হবে সন্ধ্যা নদীর তীরে
আমি আজ নষ্ট থেকে নষ্ট তর হব
আজ আমি ঋনাত্বক থেকে ধনাত্মক
নয়তো পৌছাব শূণ্যে ।
আমি মনে হয় আর বড় হব না
আমি মনে হয় আর বড় হব না
ষাটের দশকে আমি ছিলাম বত্রিশের যুবক
এখনও আমার বয়স বত্রিশ
দুই হাজার চলি−শ সালেও আমি বত্রিশেই থাকব।
যেদিন নন্দিনীর সাথে প্র ম দেখা হয়
সেদিন নন্দিনীর বয়স ছিল ষোলো
আমার বয়স নেমেছিল আঠারো তো
এখনও আঠারো, আর বাড়বে না
তোমরা বড় হবে, অনেক বড়,
তোমরা বড় হতে হতে আকাশকে ছোঁবে
আমি কেবল তোমাদের চেয়ে চেয়ে দেখব।
আমি হয়তো আর বড় হব না।
বড় হতেও চাই না।
চিরকালই আঠারতো তে থাকব
চির সবুজ হয়ে থাকব।
নারীকে আমি বুঝি কিন্তু রমণী
যতবার ছুঁয়েছি তোমার সিক্ত উষ্ণ অধর
তুমি হেসেছ আপন মনে।
আধো অবনত হয়েছ লজ্জায় কিংবা
আরো প্রাপ্তির নীরব প্রত্যাশায়।
আর আমার সৃষ্টি হয়েছে একটি গল্প।
এমন অনেক গল্প আমার আছে
কতক পড়েছি যখন ছিলে তুমি নারী
আর কিছু রয়েছে বাকি
যতবার হয়েছ রমণী।
নারীকে আমি বুঝি কিন্তু রমণী?
আমার কাছে দুর্বোধ্য,
বুঝতে সময় লেগেছিল এক দিন
এক যুগ কিংবা একটা জন্ম।
তারপরও আমি চাই,
তুমি রমণী হয়েই থাকো।
চিঠিটি আর দেয়া হয়নি
এক ফালি সোনা রোদ্দুর বিকেলে,
কখনো বা রাত্রি নিশীথে, কিংবা সোনালি ভোরে
অনেক কষ্টে লেখা আমার 'শ পাতার চিঠি।
আর পাঠানো হয়নি.......................।
পোস্ট অফিস নেই, নেই হলুদ রংয়ের সেই খাম,
ধুলা, মরিচা পড়া ডাক বাক্স গুলি উঠে গেছে বহু আগেই,
ডাক পিয়নের ঘণ্টা ধ্বনি আর শুনি না।
চিঠিটি পাঠানোর তবুও চেষ্টা করেছি।
গলির রাস্তার শেষ মাথায় একখানা ভাঙ্গা ঘরে,
ঝিমোচ্ছে নবারুন মাস্টার........ চিঠির অভাবে।
আমাকে দেখে সে তো মহা খুশি
কিন্তু আমার খুশি আর থাকেনি । কারণ..........
কোথায় পাঠাব চিঠি? আধুনিকতার ভিড়ে.........
তার ঠিকানাই যে নেয়া হয়নি আমার।
সেই তো এলে
সেই তো এলে, তবে অনেক দেরি করে।
সেই পথে..........
যে পথ ছেড়ে গেছি বৃষ্টির অপেক্ষা করে।
যা কিছু ছিল ফুল, আজ সবই ভুল,
আর ফুটবে কি ?
হারাল কিছু দিন, হতে পারতো রঙিন,
শত চেষ্টায় আর ফিরবে কি?
কি এমন বাধন?
চুমিনি হীরক, কিংবা হেমলক,ছোট্ট বিষের বড়ি,
তবুও, কিসের ব্যথায় নিত্য ছটফট করি।
বাধিনি তারে সোনার শিকলে, কিংবা রশি দিয়ে,
গলায় দেইনি সাত নরি হার, নূপুর দেইনি পায়ে।
নৌকার মত লাগিয়ে গুন টানিনি কভু তারে,
তবুও কি এমন বাধন? দুজন, কাছে আসি বারে বারে।।
আর যেও না ভুলে
পায়ে দিলেম সোনার নূপুর, বাধবো তোমায় বলে
রইলো আরো রুপোর বিছে জড়িয়ে রাখার ছলে
বক্ষে আমার হস্ত বাঁধন, রাখবো জনম ভর
রইবে গলায় সাত নড়ি হার, করবো নাতো পর?
কানে দিলেম ঝুমকো ঝিনুক, রাখবো আপন করে
রঙ্গিন ফিতের প্রেমের বাধন, খোপায় দিলেম ভরে
দু-হাত ভরা রঙিন কাঁকন, রিনিক ঝিনিক বাজে
সাজিয়ে নাকে সোনার নোলক, লাজুক ভরা সাজে
কলমি গুজি, রেশমি কোমল ঐ অপরূপ চুলে
বুকের ভেতর মুক্তির গিঁঠ, আর যেও না ভুলে
দিশাহীন পথ যাত্রী
অলিন্দ শোভিত হয় না আগের মত করে,
যা কিছু ছিল বাকি তাও ঝড়ার তরে।
যে কলি ফুটেছিল দিবাকরের আশে,
ফুটার আগে গেছে ঝড়ে রাতের অবকাশে।
স্রোতস্বিনী ছোটে ছিল অনাদি কালের তরে,
তা শুধুই রেখা আজ বুঝায় আপন মনে।
যে ভুলে পরাজিত মন, তারে শুধু খুঁজি,
আমার প্রেম তোমার বিলাসিতা এই টুকু বুঝি।
পূর্ণ তিথিতে জাগে পূর্ণিমা চাঁদ।
আমার চতুর্পাশে শুধুই অবসাদ।
এইভাবে চলে যায় আমার দিন রাত্রি,
জলধি মূলে ম্রিয়মাণ আমি দিশাহীন পথ যাত্রী।
তুমি যাইয় না, আমি তোমারে পুর্নিমার চান দেহামু
আন্ধার রাইতে কি আর চান্দের দেহা পাওয়া যায়?
জোছনায় যহন চারিদিক আলোকিত হয়,
তহন হেই আলোতে চান্দের মুখ দেহা যায়।
নদীর ঘোলা জলে চান্দের মুখ খোঁজ মাঝি?
তুমি যাইয় না, আমি তোমারে পুর্নিমার চান দেহামু।
শত লইজ্ঝার রঙিন পরদা তোলার কালে কথা দিছিলা,
আমারে ছাইড়া যাইবানা, বাইন্ধা রাখবা বৈঠার লাহান।
লুঙ্গির খোঁটে যেমন কইরা বিড়ি গুলান রাখ,
তেমন কইরা আমারে বুকের মইধ্যে গুইজা রাখবা। আর আইজ.......
আমারে থুইয়া গাঙ্গে যাও মাঝি?
ঘুঁটে কুড়ানের কালে আমারে বারো হাতে জড়াইয়া,
পিরিতের একখান গিঠ্ঠু দিছ, আমি এহনো ছট ফটাই।
আইজ আমার ম্যারম্যারা যৈবনে বান ডাকছে।
নদীর কি সাধ্যি আমার লগে টেক্কা দেয়?
তোমারে ছাড়া ঘরের মুরগি গুলা খাওন খায় না,
লাউ গাছের ডগায় পচন ধরে, পেয়ারা গুলান মান করে সুর্যের লগে।
চুলার আগুন ছুইটা আসে আমার দিকে।
যদি শাড়িতে আগুন লাইগ্যা প্ইুড়া মরি,তাইলে আর পাইবানা।
আমার একখানা কথা রাখো মাঝি।
নদীর ঘোলা জলে চান্দের মুখ খুইজনা।
তুমি ফিরা আইস।
আমি তোমারে পুর্নিমার চান দেহামু।
রমণী ভ্রমণ - দর্শন পর্ব
ছিপছিপে মাঝারি গড়নের কুশীলব,
উন্নত গ্রীবায় খণ্ডিত মস্তক।
নেত্রে কামাংখার তীব্র আহবান ।
মৃন্ময়ী বেশে, সম্মুখে দণ্ডায়মান।
সিক্ত এলো কুন্তল রাশি, মস্তক মধ্যে সিথীরতা,
কেশ রাশি বক্ষের দু-পাশে প্রবল বিস্তারিত
অতি যতনে কেশাচ্ছাদিত সৌদামিনীর চূড়া।
কপোল তলে কৃষ্ণ তিলকে রূপের বিচ্ছুরণ।
ওষ্ঠ ধর যেন বাজাতে চায় বিনাশিনী কোন বিনা,
মৃদু ঢেউ খেলানো পাললিক জমিন।
নর্ভ মূলে প্রসারিত পত্র,লজ্জা হরণের আহ্বানে উন্মাতাল।
নিতম্বের দায় যেন গোবাক তরু।
পদ পত্রে লুণ্ঠিত রাজ সিংহ।
দেহের রন্ধ্রে রন্ধ্রে যুদ্ধের দামামা,
মোহনিয় রূপের শীতল শিহরন, যেন খুনের গন্ধে প্রেমাতাল।।
তুমি চলে যাও মন্দাকিনী, আমি মৃত্তিকায় মিশে যাব
তুমি চলে যাও মন্দাকিনী, দেখতে চাই না তোমাকে।
তোমার চোখের কোণে বিজলির চমক
ঠোটের কোনে সম্মোহনী চিয়ারত আহবান
আমাকে ধুলায় মিশায়।।
তোমার রংচটা হৃদয়ের দক্ষিণের গলিতে
আমাকে ডেকো না। আমি ভয়ে অস্থির হই।
ওখানে তোমার প্রেমের ডাকাতের আস্তানা।
সর্বস্ব হারানোর মহা সম্ভাবনা।
আমি চলেই যাব, হারাব দুর নীলিমায়
কথা দিলাম, আমি আর আসবনা, দেখবনা তোমায়।।
জানি ভেঙে যাবে পাহাড়ের চূড়া,খসে পড়বে নক্ষত্র পুঞ্জ ।
ভূমিকম্প হবে মালয় থেকে সাইবেরিয়ায়
আবারও রোম পুড়বে,আবারও ছুটে আসবে নায়াগ্রার তাণ্ডব।।
অস্থি মজ্জা গুলো খসে পড়বে,লোম গুলি যাবে ঝরে।
মড়মড় করে ভেঙে যাবে, সকল মরা পাতা।
আকাশের মেঘ গুলি উত্তরে জমা হবে, হয়তোবা.....
আসতেও পারে ঝড়। লন্ডভন্ড হয়ে যাবে বৃক্ষরাজি
জলোচ্ছাসে ভেসে যাবে এপার থেকে ওপার।
তান্ডবলীলা বইবে সারা পৃথিবী জুড়ে।
আমি আগুনের ঘ্রাণ বুকে নিয়ে বেচে থাকব।
শ্রাবণের লাখ অঞ্জলী জলে সাঁতার কাটব।
ভেঙে যাওয়া পাড়ে বাঁধব ঘর। সলিল সমাধি হবে আমার।।
এরপর মৃত্তিকায় মিশে যাব আগের মত করে।।
তুমি চলে যাও তোমাকে হারাতে চাই না আমার মত করে,
আমি ভাবতে পারি না তুমি হারিয়ে যাবে ,
কস্ট গুলি বার বার জমে উঠে, তোমাকে ভালবাসি বলে।।
ভালবাসার সরল সংজ্ঞা
ভালবাসা। এ তো আমার বেঁচে থাকার প্রাণ।
আমার কাছে ভালবাসা একটা সাদা ক্যানভাস।
যখন যার সাথে প্রেম হয় তার ছবি আকি।
শিশু কালে মায়ের মুখ, বাবার কনিষ্ঠ আঙুল,
শৈশব কৈশোরে লাল ঘুড়ি, পেয়ারা গাছের ডাংগুলি,
পঁচিশ পয়সার আইসক্রিম, যৌবনে মেঘ বালিকা,
পরিণত বয়সে নব জাতকের মুখ, এরকম অনেক ছবি এঁকেছি।
এখন ও একে চলছি যাদের প্রেমে ডুবে আছি তাদের অবয়ব।
প্রিয় বন্ধু,সাদা মেঘ, নীল জোছনা কিংবা গহিন বনে গাছের ছায়া ।
বেঁচে আছি ভালবাসায়। বেঁচে আছি ভালবেসে,
বেঁচে আছি ভালবাসার আশায়, আর এ ভাবেই বেঁচে থাকি প্রতিদিন।
আজ জন্মদিন তোমার
সূর্যটা চলে গেছে দুর পরবাসে
তার বিপরীতে ঐ চন্দ্র হাসে।।
চারিদিকে জোছনা করে থৈ থৈ,
সখি আজ আসবে হৈ হৈ হৈ।
মেঘ গুলি আকাশে লুকোচুরি খেলে,
তাঁরারাও মাঝে মাঝে ফোড়ন কাটে।।
পলি− বধূরা মারে উঁকি ঝুঁকি
এই পথ দিয়ে যাবে আমাদের সখী।।
নাও গুলি বাধা, আছে দুই কুলে
মাঝিরা বসে আছে বৈঠা তুলে।।
মাঝিরা যাত্রী করছে না পার,
সখীরই আজ শুধু হবে পারাপার।।
কারণ
আজ জন্মদিন তোমার।।
বৃষ্টি তোমার বৃষ্টি আমার
বৃষ্টি তোমার, বৃষ্টি আমার
বৃষ্টি ভালবাসার,
বৃষ্টি স্বপন, বৃষ্টি কাঁপন
বৃষ্টি হৃদয় ছোঁয়ার।।
বৃষ্টি তোমার ভীষণ প্রিয়
আমার চেয়ে বেশি।
বৃষ্টি ঝড়–ক হৃদয় জুড়ে
আমিও ভালবাসি।।
বৃষ্টি এলে তুমি আসো
মনে দোলা লাগে
বৃষ্টির আশায় গুনছি প্রহর
কখন যেন আসে।।
বৃষ্টি নামুক বৃষ্টি ঝড়ুক
বৃষ্টি ভুবন জুড়ে।
বৃষ্টি আসুক তুমিও আসো
ভিজব দু-হাত ধরে।।
তোমাকে খুঁজছি
তোমাকে খুঁজছি জলে স্থলে,
তোমাকে খুঁজছি বনে।
তোমাকে খুঁজছি হৃদয় তলে,
খুঁজছি গহিন মনে।।
তোমাকে খুঁজছি সকাল সাজে,
তোমাকে খুঁজছি রাতে।
তোমাকে খুঁজছি তারার ভিড়ে,
কিংবা চাদের সাথে।।
তোমাকে খুঁজছি পুর্নিমাতে,
কিংবা অমাবস্যায়।
তোমাকে খুঁজছি শুক তারাতে,
কিংবা সন্ধ্যা তারায়।
তোমাকে খুঁজছি শীতের রাতে,
লেপ তোষকের ভিড়ে।
তোমাকে খুঁজছি গরম দিনে ,
তাল পাখার বাতাসে।।
তোমাকে খুঁজছি জলে স্থলে,
তোমাকে খুঁজছি বনে।
তোমাকে খুঁজছি হৃদয় তলে,
খুঁজছি গহিন মনে।।
ভালবাসা তোমায় ছুটি
ইচ্ছে গুলো জলে ভাসে,
ইচ্ছে হাওয়ায় উড়ে,
ইচ্ছে গুলো মনের ভেতর করছে লুটোপুটি।
তাই ভালবাসা তোমায়, আজকে দিলাম ছুটি।।
ইচ্ছে হলে গাইতে পার,
মনের সুখে নাইতে পার,
ইচ্ছে হলে হৃদয় ভেঙে করতে পার কুটি।
তবুও ভালবাসা তোমায় আজকে দিলাম ছুটি।।
আমার বুকের পাঁজর ভেঙে উড়িয়ে দিও হাওয়ায়,
ইচ্ছে হলে রাখতেও পার তোমার মনের দাওয়ায়।
তুমি চাইলে মিশতে পারে নদীর কুল দুটি
তাই ভালবাসা তোমায়, আজকে দিলাম ছুটি।।
তুমি এলে বিনাশীদের নিত্য আসা যাওয়া,
নিজের জীবন পনড়ব করে হংস মিথুন হওয়া।
একা একা মনের সুখে করছি ছুটোছুটি,
তাইতো ভালবাসা তোমায় আজকে দিলাম ছুটি।।